ফরিদপুর-৪ আসনে কাজী জাফর উল্লাহ্‌ ও নিক্সন চৌধুরীর তুমুল লড়াই - BANGLA KHOBOR | বাংলা খবর

Breaking News


Thursday, January 4, 2024

ফরিদপুর-৪ আসনে কাজী জাফর উল্লাহ্‌ ও নিক্সন চৌধুরীর তুমুল লড়াই

ফরিদপুর-৪ আসনে কাজী জাফর উল্লাহ্‌ ও নিক্সন চৌধুরীর তুমুল লড়াই
ফরিদপুর-৪ আসনে কাজী জাফর উল্লাহ্‌ ও নিক্সন চৌধুরীর তুমুল লড়াই


নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি: 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হচ্ছে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টায়। ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রচারণায় ফরিদপুর ৪ আসনে মানুষের আগ্রহ, কৌতুহল ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন নৌকা প্রতীকের কাজী জাফর উল্লাহ্‌ ও ঈগল প্রতীকের মজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন। 


মূল লড়াইটা হচ্ছে এ দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যেই। আর সে কারণে অন্যান্য দল বা জোটের প্রার্থীদের মাঠে প্রায় দেখা যাচ্ছে না। পাশাপাশি স্থানীয় বিএনপি জামায়াত ও সমমনাদের শক্ত অবস্থান না থাকায় নির্বাচনের বিপক্ষে তেমন প্রভাব পড়ছে না । 


প্রচারণার শেষ দিন ৪ জানুয়ারি স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য লক্ষ্য করা গেছে। তিন উপজেলার আওয়ামীলীগ যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যে যার পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে প্রচারাণা চালাচ্ছেন।  জাফর উল্লাহ্‌ সমর্থকেরা মনে করে, নিক্সন চৌধুরী গত ১০ বছরে এই এলাকার যুবকদের চাকরি দিতে পারে নাই। বেকারত্ব বেড়ে যাওয়া, যুবকশ্রেণি মাদক ও সন্ত্রাসে যুক্ত হওয়া, ভূমিদস্যুতা, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন তারা। অপর দিকে গত দুই টার্মে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর তত্বাবধানে গ্রাম পর্যায়ে শতকরা ৮০ ভাগ রাস্তা পাকা হয়েছে যা দৃশ্যমান আছে বলে মনে করে নিক্সন সমর্থকেরা। মহামারী করোনা, বন্যার সময়ে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ানো মত বিষয়গুলোকে ট্রাম্পকার্ড বানিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছে নিক্সন শিবির। 


নিক্সন চোধুরী ও কাজী জাফর উল্লাহ্‌ তৃতীয়বারের মত ফরিদপুর-৪ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছেন। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয় তুলে এনেছিলেন নিক্সন চোধুরী। ঐ দুটো নির্বাচনে নিক্সন চৌধুরী দল নিরপেক্ষ থাকাতে বিএনপি জামায়াতের ভোট পেয়েছিলেন, তখন নৌকা সমর্থকদের অনেক ভোট পেয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। ২০২২ সালে নিক্সন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়ার পর ভোটের হিসাব নিকাষ পাল্টে যায়। তবে নির্বাচনে উপজেলা জাকের পার্টি নিক্সন চৌধুরীকে সমর্থন দেয়ায় নিক্সন শিবিরে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। 


নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর পর থেকে এ আসনে বড় ধরণের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে যার যার পক্ষে জনসংযোগ, উঠান বৈঠক ও জনসভায় কাজী জাফর উল্যাহ ও নিক্সন চৌধুরী একে অপরের প্রতি উত্তপ্ত বাক্যবাণ ছুড়েছেন। যা সাধারণ ভোটারদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। স্থানীয় ভোটাররা মনে করেন, এবার বিভিন্ন কারণে লড়াইটা হচ্ছে সমান সমান। সাধারণ ভোটাররা দুজনের আমলনামা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ৭ জানুয়ারী ভোটের মাঠে হাজির থাকবে। 


নির্বাচন প্রসঙ্গে সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম রব্বানী বলেন, দল থেকে নির্বাচনের বিপক্ষে নির্দেশনা থাকায় অনেক বিএনপি সমর্থক ভোটার ভোট কেন্দ্রে যাবে না বলেই আশা করছি। একই সুরে কথা বলেন জামায়াতের উপজেলা আমীর দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, জামায়াত এই নির্বাচনের পক্ষে নয়। দল যেভাবে চাইছে সমর্থকেরা সেভাবেই কাজ করবে। 


তবে হিসেব নিকেষ যাই থাকুক, এই মুহূর্তে বলা যায় এককভাবে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর কেউই এগিয়ে নেই। ৭ জানুয়ারি ফরিদপুর-৪ আসনের ৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৪৫ জন ভোটার নির্ধারণ করবেন নিক্সন চৌধুরী তৃতীয়বারের মত বিজয়ী হয়ে হ্যাট্রিক বিজয় করবেন নাকি কাজী জাফর উল্লাহ্‌ হ্যাট্রিক পরাজয় এড়াতে জয়ের স্বাদ নিবেন।



No comments:

Post Top Ad

Responsive Ads Here