মায়ের খোঁজে ফরিদপুরে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে তিন অসহায় শিশু - BANGLA KHOBOR | বাংলা খবর

Breaking News


Friday, February 2, 2024

মায়ের খোঁজে ফরিদপুরে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে তিন অসহায় শিশু

 

মায়ের খোঁজে ফরিদপুরে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে তিন অসহায় শিশু
মায়ের খোঁজে ফরিদপুরে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে তিন অসহায় শিশু


নাজমুল হাসান নিরব,ফরিদপুর প্রতিনিধি :

নিজের মায়ের খোঁজে ঘুরে ফিরছে তিনটি অবুঝ শিশু, অবশেষে মায়ের খোঁজে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে এসে আকুতি করছে তারা। আজ শুক্রবার ( ২ ফেব্রুয়ারী) ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বিষ্ঞুদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। 


পাবনা জেলার  সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দা গ্রামের শ্রী কৃষ্ণ কুন্ডুর তিনটি অসহায় শিশু,  নন্দীতা কুন্ডু(১২) ববী কুন্ডু (৮), দুই/ তিন বছরের  প্রতিবন্ধী পার্থ কুন্ডু নামের এই তিনটি শিশু মায়ের খোঁজে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বিষ্ঞুদী গ্রামের  দিলীপ কুন্ডুর ছেলে সুজন কুন্ডুর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।   


মায়ের খোঁজে ফরিদপুরে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে তিন অসহায় শিশু
মায়ের খোঁজে ফরিদপুরে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে তিন অসহায় শিশু




কৃষ্ণ কুন্ডুর বড় মেয়ে নন্দীতা জানায়, তার বাবা কাজের সন্ধানে প্রায় ৭ বছর আগে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান,  মালয়েশিয়া গিয়ে তার সব টাকা তার মায়ের একাউন্টে পাঠিয়েছে, এদিকে মা তার পরকীয়া প্রেমিক সুজন কুন্ডুকে এই সব টাকা দিয়েছে,  ‘সুজনের সাথে মায়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। অবশেষে তিনদিন আগে আমাদের তিন ভাই বোনকে রেখে মা সুজন কুন্ডুর সাথে পালিয়ে চলে আসে। আমরা অনেক খুঁজাখুঁজির পর আমার এক চাচার সাথে সুজন কুন্ডুর বাড়িতে এসে পৌছায়ছি। এখানে আমার মা ছিলো, আমাদের দেখে মা তার প্রেমিক সুজনকে নিয়ে এখান থেকেও পালিয়েছে।  আমরা এখন কি করবো’? 


স্থানীয়রা জানায়,  ছয় মাস আগেও দীলিপ কুন্ডু ও তার ছেলে সুজন কুন্ডু মাছ বিক্রি করে সংসার চালাতো, হঠাৎ টাকা পয়সার মালিক বনে গেছে, বাড়িতে বিল্ডিং নির্মাণ করছে। এটা কিভাব সম্ভব এই টাকা এই মহিলা সুজন কে দিয়েছে।   


প্রবাসি কৃষ্ণ কুন্ডুর ভাই সাগর কুন্ডু জানান, ‘বিষ্ঞুদী গ্রামে বেশ কিছু দিন আগে আমার ভাইয়ের বউ এসেছিলো একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সেখান থেকে সুজনের সাথে পরিচয় তার।  মোবাইল নাম্বার ও আদান প্রদান হয়েছি। এরপর মোবাইলে সখ্যতা গড়ে ওঠে তাদের। একপর্যায়ে তাদের ভিতর প্রেমের সম্পর্কে রুপ নেয়। সুজন কুন্ডু বরিশাল জেলা শহরে একটি দোকানের কর্মচারী হিসাবে কাজ করতো মাঝে মধ্যে পাবনায় যেত। সম্পর্কের শেষ পরিনতি তিন দিন আগে সুজন পাবনায় গিয়ে আমার ভাইয়ের বউ কে নিয়ে আসে গোপনে। এরপর থেকে আমার ভাইয়ের তিন সন্তান অসহায় হয়ে পড়ে। আমরা এখন এদের নিয়ে বিপদে আছি। কিভাবে এর সমাধান হবে জানি না। আমরা বিদেশী লোক কার কাছে গেলে এর সমাধান হবে বুঝতে পারছি না’।  


এদিকে অভিযুক্ত সুজন কুন্ডু বাড়িতে না থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সুজন কুন্ডুর বাবা দীলিপ কুন্ডু বলেন, আমার ছেলে বাড়িতে নাই এবং ছেলের সাথে যে মেয়েটি এসেছে সেও নাই। আমি এখন এর কি সমাধান দেবো। 


সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ  মো: ফায়েজুর রহমান  বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, এটা সমাজ সেবা অফিসের মূলত কাজ। তারপরও আইনগত কোন দিক থাকলে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ভাবে আমরা ব্যবস্থা নিব।




No comments:

Post Top Ad

Responsive Ads Here