ডলার বুকিং নিয়ে ভয় না পেতে পরামর্শ |
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডলার সংকট আরও বাড়বে, এমন শঙ্কা থেকে ডলার বুকিং নয়। ডলার বুকিং একটি নিয়মিত কার্যক্রম।
এতে ভয় না পেতে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবা উল হক।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, বড় বড় প্রতিষ্ঠান আমদানি মূল্য যথা সময়ে পরিশোধ করতে ডলারের আগাম বুকিং দিয়ে থাকে। এর মানে ভবিষ্যতে ডলার সংকট আরও বাড়বে বিষয়টা এমন নয়। কমতেও পারে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
নতুন নিয়মে এক বছরের জন্য ডলার বুকিং দিয়ে রাখা যাবে। এজন্য গ্রাহককে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে। এটা নির্ধারণ হবে এখন যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হয়, তার মাধ্যমে। যেটা স্মার্ট বা সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত, সংক্ষেপে যার নাম ‘এসএমএআরটি’।
প্রতি মাসের শুরুতে স্মার্ট রেট জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। জুলাইয়ে স্মার্ট রেট ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। আগস্টে তা বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ, যা চলতি সেপ্টেম্বরেও অপরিবর্তিত রয়েছে। আগাম ডলারের দরের জন্য ‘এসএমএআরটি’ রেটের সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ যোগ করতে হবে। অর্থাৎ ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ হবে।
এখন আমদানিতে ডলারের দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ আছে। কেউ যদি ভবিষ্যতের জন্য ডলারের বুকিং দিতে চান তাহলে তাকে এক বছর পর প্রতি ডলারে ১২৩ টাকার মতো পরিশোধ করতে হবে। আর মাসভিত্তিক দাম হলে তা বাজার দরে ক্রয় করা যাবে।
আগাম ডলার বুকিং দেওয়ার ক্ষেত্রে এক বছর পর সর্বোচ্চ দাম কী হবে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) তা বেধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সম্পর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়, নতুন নিয়মে এক বছর পর ব্যাংক ডলারের দাম বর্তমানের চেয়ে স্মার্ট হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি নিতে পারবে। এতে প্রতি ডলারের দাম হতে পারে সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা পর্যন্ত। আগামীতে ডলারের দাম আরও বাড়বে- এ ধরণের শঙ্কা থেকে অভয় দিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেজবা উল হক।
No comments:
Post a Comment